রোববার, ১৯ মে ২০২৪

আজিম মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলে শান্তিতে মরতে পারতাম: সুজাতা

আজিম ও সুজাতা
আপডেটেড
২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫০
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৬:২৪

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ছিলেন আজিম। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে আছে ‘হারানো দিন’, ‘নতুন সুর’, ‘মেঘ ভাঙ্গা রোদ’, ‘ডাকবাবু’, ‘সাত ভাই চম্পা’ ও ‘ভানুমতি’। পরিচালিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে—‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘জীবন মরণ’, ‘বদলা’, ‘গাদ্দার’, ‘দেবর ভাবী’। ‘মালা’, ‘ডাকবাবু’, ‘আমির সওদাগর’, ‘ভেলুয়া সুন্দরী’, ‘মধুমালা’, ‘রাখাল বন্ধু’ প্রভৃতি ছবিতে নায়ক ছিলেন আজিম।

তিনি ১৯৩৭ সালের ২৩ জুলাই সিলেটের হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন মুন্সেফ। তাই আজিমের শৈশব-কৈশোর কাটে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পরবর্তীতে ঢাকার হাটখোলার ভবগতী ব্যানার্জী রোডে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে আজিমের পরিবার। ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

আজ এই চলচ্চিত্রাভিনেতার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাকে নিয়ে লিখেছেন স্ত্রী অভিনেত্রী সুজাতা। সেই লেখার অংশবিশেষ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

আজিম একজন বরেণ্য অভিনেতা ছিলেন। তাকে হারিয়ে এই ২০ বছরে শুধু একটি কথাই বারবার মনের মধ্যে উচ্চারিত হয়, তার কি একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও প্রাপ্য নয়! মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে রাষ্ট্র এত বছরেও স্বীকৃতি দিতে পারল না! এটা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, চরম দুঃখবোধ আছে।

আমার এক ছেলে ফয়সাল আজিম, পুত্রবধূ, দুই নাতি—এদের নিয়ে জীবনযাপন। জানি না আমি কতদিন বাঁচবো, আমার বয়সও তো কম হলো না। তবে এই দুঃখবোধ নিয়েই কি মরতে হবে! যদি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় পেতেন, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতেন—হয়তো স্ত্রী হিসেবে শান্তিতে মরতে পারতাম। আমার সন্তান নাতিরা গর্ব নিয়ে বাঁচতে পারতো।

একজন যথার্থ মানুষকে সম্মাননা না দেয়ায় রাষ্ট্রের দায় থেকে যায়। আজিম অস্ত্র হাতে ময়দানে যুদ্ধ করেননি। তবে তিনি ছিলেন অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করা যোদ্ধাদের চরম সময়ের বন্ধু। জীবন বাজি রেখে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাই বলতেই পারি, একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালে দুই হাত বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন।

উনি মুক্তিযোদ্ধাদের কীভাবে সাহায্য করতেন কিছু উদাহরণ দেই।

আমাদের ১৯৬৭ সালে বিয়ে হয়। ১৯৭১ সাল চলে আসে। সারাদেশে যুদ্ধ চলছে। শাশুড়ির কথায় আমাকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। তখন গাড়িটির দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা। একমাস আগে কিনে দেয়া নতুন গাড়িটি বিক্রি করে সব টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে দেন। আমাকে বলেছিলেন, সবার আগে প্রয়োজন দেশ, গাড়ি বেঁচে থাকলে কেনা যাবে। তখন তো শুটিং বন্ধ ছিল। যুদ্ধ চলছে। হাতে তো ওভাবে টাকা ছিল না। যেভাবে সম্ভব হয়েছে আজিম টাকা জোগাড় করে দিতেন।

একদিন এক মুরগিওয়ালা এসেছেন। তার কাছ থেকে দুইটা মুরগি নিলেন, আর অনেক টাকা দিলেন। আমার চোখে পড়লো। বললাম, এত টাকা দিলেন আর দুইটা মুরগি নিলেন? উনি আমাকে ডেকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বললেন, আস্তে কথা বলো। উনি মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযোদ্ধারা নানা ধরনের বেশে আসতেন, আজিম ওনাদের কী সাহায্য করবেন তা জোগাড় করে রাখতেন।

আমি একটি বই লিখেছি ‘শিমুলির একাত্তর’ নামে, সেখানেও এই কথাগুলো আছে। সেখানে আরও বিস্তারিত আছে। এখনো বেঁচে আছেন সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। উনি জানেন আজিমের অবদান। বিচিত্রার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর ছোট ভাই ফতেহ আলীও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারাও জানেন এইসব ঘটনা। এমন অনেকে আছেন যাদের হয়তো তখন আমি চিনে উঠতে পারিনি।

অভিনেত্রী সুমিতা দি থাকতেন এফডিসির ফ্লোরে, তাকে সাহায্য করতেন গিয়ে। চিত্রপরিচালক প্রদীপ দে এখনো বেঁচে আছেন—উনিও জানেন আজিম সাহেবের অবদান।

স্বাধীনতার পরে আমরা আবার শুটিং শুরু করলাম। কয়েকজন স্বনামধন্য পরিচালক ও এফডিসিকে আজিম উপহার দিয়েছেন। যেমন ইয়ার খান, আকবর কবির পিন্টু, আকবর হুদা মিন্টুকে পরিচালক বানিয়েছেন।

জসিম ওনার হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছেন। জসিমের ‘দোস্ত দুশমন’ ছবির প্রায় সমস্ত ব্যয় উনি করেছিলেন। জসিম শুধু ১০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। তখন এত ট্রান্সপোর্ট ছিল না। উনি নিজের গাড়ি দিয়ে শুটিংয়ের পর শিল্পী কলাকুশলীদের পৌঁছে দিতেন। তার কাছে কিছু চেয়ে কেউ কোনো দিন খালি হাতে ফেরেননি। এতটাই উদার মনের ছিলেন তিনি।


ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ‘বুম্বাদা’

তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

‘বুম্বাদা’খ্যাত টালিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মজীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের জানার আগ্রহ অন্তহীন। সেই জন্যই বোধহয় বাংলা ছবির দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল ‘আমি ইন্ডাস্ট্রি আমি প্রসেনজিৎ’ সংলাপটি। বর্তমানে প্রসেনজিতের ভক্তরা মজে রয়েছেন তার আসন্ন ছবি ‘অযোগ্য’ নিয়ে। এর মাঝে সুপারস্টার দিলেন আরও এক সুখবর। যা তার জীবনের অন্যতম সেরা পাওনা। ছেলে মিশুকের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হলো। আনুষ্ঠানিকভাবে মিশুক হাতে পেলেন গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট। ছেলের সাফল্য যেকোনো বাবার কাছেই অত্যন্ত গর্বের। প্রসেনজিৎ-ও তার ব্যতিক্রম নন। মিশুকের জীবনের এই সাফল্য সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ‘ড্যাডি কুল’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

সন্তানের সাফল্য দেখা প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছেই স্বপ্নপূরণের মতো। মিশুকের ভালো নাম তৃষাণজিৎ। জীবনের এখনো অনেকটা পথ পেরোনো বাকি। একে একে প্রতিটি ধাপে ছেলে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবেন বাবা হিসেবে এটাই একমাত্র কাম্য প্রসেনজিতের। কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন প্রসেনজিৎ-অর্পিতার ছেলে তৃষাণজিৎ। তারকা পুত্রের জীবনের সোনালি মুহূর্তটাকে লেন্সবন্দি করেছেন প্রসেনজিৎ। তিনি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন সেখানে স্বাভাবিকভাবেই খোশ মেজাজে দেখা যাচ্ছে তৃষাণজিৎকে।

বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত মিশুক। সেই মুহূর্তে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায় নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান তারকাপুত্র। গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট হাতে নিতেই চোখে-মুখে এক অনাবিল আনন্দ। ক্যামেরার পোজ দেওয়ার মাঝে আগে সার্টিফিকেটটি দেখে নেন তৃষাণজিৎ। ছেলের জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, ‘আজ আমি আমার ছেলে মিশুকের জন্য নিজেকে বাবা হিসেবে গর্বিত মনে হচ্ছে। মিশুক গ্র্যাজুয়েট হলো। এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি আপ্লুত। অনেক শুভেচ্ছা মিশুক। তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।’

সুপার ড্যাড প্রসেনজিতের মতোই হ্যান্ডসাম তৃষাণজিৎ। সুপারস্টারের ছেলে বলে কথা। তাকে নিয়ে জানার আগ্রহও কম নয় আমবাঙালির। মিশুকের ব্যক্তিগত জীবনেও উঁকি মারে সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসেনজিতের ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুকের একটি পোস্ট ঘিরে বেশ চর্চা হয়েছিল। ২০২৪-এর মার্চ মাসের ঘটনা। যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন সেখানে দেখা যাচ্ছিল সবুজ মাঠের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুজনে। প্রসেনজিৎ পুত্রকে বাহুডোরে আগলে রয়েছে চর্চিত প্রেমিকা লিতিকা।

উল্লেখ্য, একসঙ্গেই পড়াশোনা করেন মিশুক আর লিতিকা।

বিষয়:

প্রথমবারেই কান মাতালেন কিয়ারা আদভানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

পর্দা উঠেছে বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র উৎসব কানের। ১৪ মে থেকে সব আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৪ কান উৎসব। প্রতিবারের মতো এবারও বলিউড থেকে কান উৎসবে অংশ নেবেন অনেকে। এর মধ্যে অভিনেত্রীদের দিকেই নজর থাকে সবার। বিশেষত হাতে প্লাস্টার নিয়েও কানের বড় আকর্ষণ লাল গালিচায় মুগ্ধতা ছড়ালেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। এবার অবশ্য অনেকেই প্রথমবারের মতো কানে অংশ নিচ্ছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথমবার কানে অংশ নিলেন বলিউডের লাস্যময়ী তরুণ অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। শনিবার কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের লাল গালিচায় প্রথমবার হাঁটলেন কিয়ারা। আর প্রথম এন্ট্রিতেই বাজিমাত করলেন বলিউডের এই উঠতি তারকা। পরনে ধবধবে সাদা পোশাক। খোলা চুল। ‘ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা’য় ভারতীয় সুন্দরীর দিক থেকে যেন চোখ ফেরাতেই পারছিলেন না পশ্চিমি বিনোদুনিয়ার ফটোশিকারিরা। কিয়ারার ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড় ভক্তদের।

প্রথমবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি অবশ্য নতুন দায়িত্বও এল অভিনেত্রীর কাঁধে। ৭৭তম ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় কানের ভ্যানিটি ফেয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের স্বনামধন্য মহিলাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। আর সেই ‘সিনেমা গালা ডিনার’-এর ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেন কিয়ারা আদভানি।

রেড কার্পেটের জন্য, প্রবাল গুরুংয়ের ফল উইন্টার ২০২৪ ফ্রেগমেন্টেড মেমরিস কালেকশনের পোশাক বেছে নিয়েছিলেন কিয়ারা। স্যাটিন ম্যাটেরিয়ালের থাই-হাই স্লিট পোশাক। চলতি বছরেরই নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইক-এ এই কালেকশন প্রকাশ্যে এনেছিলেন প্রবাল। অভিমন্যু দাস ও এলসি ছেত্রীর সহযোগিতায় অভিনেত্রীকে সাজিয়েছেন সেলিব্রিটি ফ্যাশন স্টাইলিস্ট লক্ষ্মী লেহর। আর কিয়ারার সেই লুক দেখে ঘুম উড়েছে অনুরাগীদের। অভিনেত্রীকে ‘দেবী’ বলেও সম্বোধন করলেন তারা।

এদিকে শনিবার ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় যোগ দেওয়ার জন্য ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। এ ছাড়া বলিউডের আরেক অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারিকে দেখা যাবে আগের চেয়ে ভিন্ন সাজে কানের লাল গালিচায়। এর মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো কানে যোগ দিতে পারছেন বলে বেশ আনন্দিত অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি। ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, শিগগির লরিয়ার প্যারিসের টিমের সঙ্গে যোগ দেব। আমি সে প্রস্তুতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছি।’

বিষয়:

ছোট পর্দায় অপ্রতিরোধ্য নিলয় আলমগীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ওটিটির দাপটে বদলে গেছে টিভি নাটকের চালচিত্র। ওয়েব ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজের জোয়ারে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিকের কারণে ছোট পর্দার বেশির ভাগ চাহিদাসম্পন্নরাই এখন অভিনয় কমিয়ে দিয়ে ঝুঁকে পড়ছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। আর এই সুযোগে কদর বাড়ছে বেশ কয়েকজন অভিনেতার। তাদের মধ্যে অন্যতম নিলয় আলগমগীর।

বলা চলে টিভি খুললেই দেখা মেলে সময়ের আলোচিত ও ব্যস্ত এই টিভি অভিনেতাকে। ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে শোবিজে আগমন। চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় শুরু হলেও কয়েক বছর ধরে চাহিদার সঙ্গে টিভি নাটকেই থিতু হয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রে টিকে থাকার প্রতিযোগিতার দৌড়ে নিজেকে অস্থির না রেখে নাটকে অভিনয়ে সৌরভ ছড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ছোট পর্দায় দিনকে দিন তার চাহিদা বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাকে। একক ও ধারাবাহিকে সিরিয়াস কিংবা কমেডি সব ধরনের নাটকেই দেখা মেলে তার।

চলচ্চিত্র থেকে টিভি নাটকে এসে অনেকেই সুবিধা করতে পারেন না। নিজেকে টিকিয়ে রাখতে অনেক বেগ পেতে হয়; কিন্তু ব্যতিক্রম কেবল নিলয় আলমগীর। টিভি নাটকের এখন ব্যস্ত অভিনেতাদের অন্যতম তিনি। বিভিন্ন গল্পের নানা চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন অবলীলায়। সময়ের আলোচিত ছোট পর্দার প্রায় সব নায়িকাদের বিপরীতে দেখা মিলছে তার। শখ, সারিকা, তিশা, শশী, তানিয়া বৃষ্টি, সাবিলা নূর, জেনী, বাঁধন, হিমি, তাসনুভা তিশা, কাজল সুবর্ণসহ অনেকের সঙ্গে জুটি বেঁধে একচেটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এই ‘সুপারহিরো’। এমনকি নাটকে আগত নতুন নায়িকাদের সঙ্গেও পরিচালকরা নিয়লকেই বেছে নেন। সামিরা খান মাহি, রোকাইয়া জাহান চমকের মতো নতুনদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেতা। কণ্ঠশিল্পী পড়শীর নায়ক হয়েও নাটকে অভিনয় করেছেন নিলয়। তবে এই সময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রী জান্নাতুল হিমির সঙ্গেই তাকে বেশি অভিনয় করছেন তিনি। এই জুটির সাবলীল অভিনয় দর্শক ও নির্মাতাদের মনে আলাদা নজর কেড়েছে।

গত রোজার ঈদে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন নিলয়-হিমি জুটি। এ প্রসঙ্গে দৈনিক বাংলাকে নিলয় বলেন, ‘হিমির সঙ্গে আমার অনেক কাজ করা হয়েছে। দর্শকরা চান বলেই হয়তো পরিচালকরাও আমাদের নিয়ে একটু বেশি কাজ করেন। শুধু হিমি নয়, আমি অনেক নায়িকার সঙ্গেই কাজ করেছি। সেগুলোও দর্শক গ্রহণ করেছেন।’

প্রযুক্তির কারণে এখন অনেক কিছুই সহজ হয়ে গেছে। ইউটিউবনির্ভর হয়ে গেছে টিভি নাটক। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন চলছে ভিউয়ের দৌরাত্ম্য। গল্প ভালো-মন্দ যাই হোক ভিউ বেশি হলেই চলে সেই নাটক নিয়ে মাতামাতি। নাটকের মানদণ্ড যেন নির্ণয় হয় ভিউয়ের ওপর। এ প্রসঙ্গে নিলয় বলেন, ‘আমি আগেও ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করেছি, এখনো করছি। তবে দেখা গেছে অনেক ভালো নাটকে ততটা ভিউ হয় না। আবার কোনো কোনো দর্শক ভিউ হওয়াটাকে ভালো দৃষ্টিতে দেখছেন না। তাদের ভাষ্যমতে বুঝতে পারলাম কম ভিউজ মানে ভালো নাটক, বেশি ভিউ মানে খারাপ নাটক। এটা সব সময় ঠিক নয়।’

বিষয়:

ঢাকায় আসছেন বিদ্যা বালান

আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০৪
বিনোদন প্রতিবেদক

বলিউডের সিনিয়র ও মেধাবী অভিনেত্রীদের মধ্য অন্যতম বিদ্যা বালান। কথিত গ্ল্যামার নয়, অভিনয়গুণেই নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন তিনি। ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ জায়গা তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী। বলিউডের প্রথম সারির তারকা তিনি। তার কাজ মানেই ভিন্নধর্মী এক আমেজ তৈরি করে। তাই বেছে বেছে, সময় নিয়ে কাজ করেন এ অভিনেত্রী। এ জন্য সাম্প্রতিক সময়ে তার সিনেমার সংখ্যাও কম। ‘ডার্টি পিকচার’খ্যাত এই তারকা গত বছর মাত্র একটি সিনেমায় কাজ করেছেন। লম্বা বিরতির পর গত বছর নিয়ত নামের একটি ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিতে তিনি কাজ করেন গোয়েন্দা চরিত্রে।

ভারতের এই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী এবার বাংলাদেশের দর্শকদের মাতাতে আসছেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর আবাহনী মাঠে নতুন চ্যানেল ‘হ্যাপিনেস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে পারফর্ম করতে দেখা যাবে। চ্যানেলটির চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‌‘অত্যন্ত জমকালোভাবে আমরা উদ্বোধনটি করতে চাই। তাই এমন আয়োজন।’ তিনি জানান, শুধু বিদ্যা নন অনুষ্ঠানে কলকাতার গায়ক নচিকেতা ও অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিসহ অনেকে উপস্থিত থাকবেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক খুদে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিদ্যা বালান নিজেই ঢাকায় আসার খবর জানিয়েছেন বাংলাদেশের ভক্তদের। ভিডিও বার্তায় বিদ্যা বালান বলেন, ‘হ্যালো বাংলাদেশ, আমি বিদ্যা বালান। তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে শিগগিরই।’

আরেকটি ভিডিও বার্তায় দেখা গেছে, বিদ্যা বালানকে ফোন করে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে ‘হ্যালো বিদ্যা, আমি বাংলাদেশ থেকে নীলা। জবাবে বিদ্যা বলছেন, ‘ওয়াও বাংলাদেশ’। বিদ্যা বালানের এই ভিডিওগুলো শেয়ার করেছেন বাংলাদেশের বহুজাতিক কোম্পানির ফেসবুক পেজ থেকে। তাদের শেয়ার করা আরও এক ভিডিওতে দেখা যায়, বেইলি রোডে কি করছেন বিদ্যা বালান?

বিদ্যা বালান চলতি বছরে আবার ভূত হয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভুলভুলাইয়া’ ছবির প্রসঙ্গ উঠলেই বিদ্যা বালানের সেই ভয়ঙ্কর রূপের কথা মনে পড়বেই। তার অসাধারণ অভিনয় ছিল ‘ভুলভুলাইয়া’ ছবিটির তুমুল জনপ্রিয়তার কারণ। ‘ভুলভুলাইয়া টু’ ছবিতেও এসেছিল মঞ্জুলিকার গল্প। সেখানে অভিনয় করেছিলেন টাবু। তবে মঞ্জুলিকার চরিত্রে দর্শকের প্রথম পছন্দ বিদ্যাই। তাই ‘ভুলভুলাইয়া থ্রি’-তে বিদ্যাকেই ফিরিয়ে আনছেন পরিচালক অনীশ বাজমি।


আসছে জাহ্নবীর ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আগামী ৩১ মে মুক্তি পাচ্ছে রাজকুমার রাও ও জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবিটি। এরই মধ্যে শরণ শর্মা পরিচালিত এই ছবির রোমান্টিক গান ‘দেখা তেনু’ মুক্তি পেয়েছে। গান মুক্তির অনুষ্ঠানে জাহ্নবী খোলাসা করেছেন, ছবিতে ‘মিসেস মাহি’ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া তার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল।

ছবির আদ্যোপান্ত জুড়ে আছে ক্রিকেট। ছবির ট্রেলারে দেখা গেছে, এটা ক্রিকেট-পাগল এক দম্পতির গল্প। ছবিতে রাজকুমার ও জাহ্নবীকে ব্যাট-বল হাতে ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে। ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবির গান মুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজকুমার রাও, জাহ্নবী কাপুর, শরণ শর্মা।

জাহ্নবী বলেন, ‘এই ছবির জন্য আমি প্রচুর পরিশ্রম করেছি। ‘মিলি’ ছবির প্রচারণার সময় এই ছবির জন্য ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। প্রায় দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। শরণ (পরিচালক) এই ছবিতে কোনো ভিএফএক্স ব্যবহার করেনি। ও চেয়েছিল ক্রিকেটের দৃশ্যগুলোকে বাস্তব দেখাতে। শরণ চেয়েছিল, পর্দায় যেন আমাকে প্রকৃত ক্রিকেটারের মতো দেখতে লাগে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনিংয়ের সময় আমি অনেক চোট পেয়েছি। আমার দুই কাঁধের হাড় সরে গিয়েছিল।’

অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেকবার এমন হয়েছে যখন আমার শরীর হার মেনে নিয়েছে। মনে হয়েছে, আমাকে দিয়ে আর সম্ভব নয়। কিন্তু পরিচালকের চোখেমুখে আত্মবিশ্বাস ও আবেগ দেখে সাহস পেয়েছি। অনেক সময় পরিচালকের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছি। আমাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা একটা পুরো দল হিসেবে একসঙ্গে আছি। আমার বিশ্বাস যে দর্শক ছবিটি পছন্দ করবেন।’

অনুষ্ঠানে পরিচালক শরণ শর্মা জানান, ছবিটি নির্মাণের পেছনে অন্যতম বড় কারণ ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। জাহ্নবী ছবিটি ধোনিকে দেখাতে চান। ধোনি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘ধোনি শুধু বড় ক্রিকেটার নন, মানুষ হিসেবেও দুর্দান্ত। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।

তখন দেখেছিলাম ধোনির সঙ্গে যারা যারা সেলফি নিচ্ছিলেন, তিনি তাদের সঙ্গে ছবি তোলার পাশাপাশি কথাও বলছিলেন।’

বিষয়:

দুই দিনে দুই মিলিয়ন ভিউ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

নাটকটি রিলিজ হয়েছে মাত্র দুই দিন। এরই মধ্যে ভিউ হয়েছে দুই মিলিয়ন। বলা যায় ২০ লাখ বারের বেশি নাটকটি দেখেছেন দর্শক। নাটকটির নাম ‘মাধবীলতা’।

এটি নির্মাণ করেছেন রোমান্টিক নাটকের জন্য সব সময় জনপ্রিয় নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী। এমনিতেই তিনি নির্মাণ করেন খুব কম। ঈদে রিলিজ না হলেও এটি রিলিজ হয়েছে গত ১৪ মে। দেরিতে এলেও মুক্তির পর দর্শকরা যেন ভালো লাগা খুঁজে পেয়েছেন নাটকটিতে। ভিউ এবং প্রশংসায় সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে এটি। ‘মাধবীলতা’ নাটকে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ। নাটকটি দেখা যাচ্ছে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে। দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী।

বিষয়:

ফাটল ধরেছে জেনিফার সম্পর্কে!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

হলিউডের জনপ্রিয় তারকা জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের মধ্যে আবারও বিচ্ছেদের কথা শোনা যাচ্ছে। ২০২২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের বিয়েতে ভক্তরাও দারুণ খুশি ছিল। কিন্তু সেই সুখ টেকসই হলো না। এরই মধ্যে ফাটল ধরেছে বেন-জেনিফারের সম্পর্কে। সম্প্রতি তাদের এই বিচ্ছেদের খবরে ভক্তরা আহত হয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ার খবরের মাধ্যমে জানা গেছে, অ্যাফ্লেক ও লোপেজ যৌথভাবে যে বাড়ি কিনেছিলেন, ইতোপূর্বে সেটা ছেড়ে দিয়েছেন অভিনেতা। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন গায়িকা-অভিনেত্রী লোপেজ। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে লাইক দিয়ে বিচ্ছেদের আশঙ্কা উসকে দিয়েছেন তিনি।

একটি পেজ থেকে দেওয়া ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘যার মধ্যে সততা ও মানসিক নিরাপত্তা নেই; তার সঙ্গে আপনি কখনও একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন না।’

এমন পোস্টে জেনিফার লোপেজের রিঅ্যাকশন দেখে নেটিজেনদের মনে তাদের বিচ্ছেদের খবর পোক্ত হয়েছে। সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের এক স্টুডিওতে। যেখানে নৃত্য অনুশীলনের জন্য এসেছিলেন জেনিফার লোপেজ। সে সময় তার হাতে বিয়ের আংটি দেখা গেছে। তাই বিচ্ছেদের বিষয়টিকে এখনও গুঞ্জন হিসেবে বিবেচনা করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

এই প্রথম নয়, এর আগেও ছাড়াছাড়ি হয়েছিল জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের মধ্যে। ২০০৩ সালে ক্রিস জুডের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অ্যাফ্লেকের প্রেমে পড়েন লোপেজ। কয়েক মাস প্রেমের পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে ২০০৪ সালে বিয়ের আগ মুহূর্তে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তারা।

এরপর দীর্ঘ ১৮ বছরে তারা দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে যুক্ত হন; বিয়ে করে সন্তানের জনকও হন। কিন্তু জীবন চক্রে লোপেজ-অ্যাফ্লেকের সম্পর্ক পুনরায় জোড়া লাগে। এবং তারা বিয়েও করেন।

বিষয়:

অমিতাভ-শাহরুখদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

এযাবৎকাল গুটখা কিংবা পানমশলার বিজ্ঞাপনে শাহরুখ খান, অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমার, অমিতাভ বচ্চন থেকে সুনীল গাভাস্কার- অনেকের মুখই দেখা গেছে। সেই তালিকায় সম্প্রতি নাম লিখিয়েছে টাইগার শ্রফও।

গুটখা বা তামাকজাত দ্রব্যের হয়ে প্রচার করেন, তাই একাধিক তারকার নামে মামলা করতে চেয়েছিলেন অনেক ভারতীয় নাগরিক। শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, সুনীল গাভাস্কারসহ একাধিক ব্যক্তিত্বের নামে ক্রিমিনাল কেস যাতে ফাইল করা যায়, তার আর্জি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে একটি পিটিশন ফাইল করা হয়েছিল। তবে বম্বে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায় এবং বিচারপতি আরিফ এস ডক্টরের বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যিনি পিটিশন করেছেন তিনি ভালোমতো পড়াশোনা বা রিসার্চ না করেই কোর্টের কাছে এসেছেন।

এমনকি তার পিটিশনও নাকি সঠিকভাবে ফাইল করা হয়নি। চাইলেই যে সুপারস্টারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে না, সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন উচ্চ আদালত। পাশাপাশি মুম্বাই হাইকোর্টের পক্ষ থেকে পিটিশন দাখিলকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যশ ফাউন্ডেশনকে ভবিষ্যতে এসব পিটিশন দাখিল করার আগে সচেতন হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আদালতের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সাধারণ দুস্থ মানুষদের হয়ে বা সমাজের উন্নতির জন্য কোনো মামলা দায়ের করতে চাইলে অবশ্যই আদালত সেটা শুনবে। কিন্তু এসব ভুলভাল পিটিশনে আর আমল দেবে না কোর্ট। বরং এমন আবেদন এলে সেগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনী ভিডিওতে এসব তারকামুখ দেখে অনুরাগীদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এমনকি এর আগে এলাহাবাদ কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার জন্য আইনি বিপাকে পড়তে হয়েছিল অক্ষয়, অজয়, শাহরুখদেরও। তবে বম্বে হাইকোর্ট এবার অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অক্ষয়-গাভাস্কারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আবেদন খারিজ করে দিল।

বিষয়:

বাতিল হতে পারে নিপুণের সদস্যপদ!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

আবারও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে মিডিয়া সরব হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে নতুন মেয়াদে নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল জয়লাভ করেন। নিয়ম অনুযায়ী শপথগ্রহণ শেষে নির্বাচিত কমিটি দায়িত্বও গ্রহণ করেছে সমিতির। কিন্তু এরই মধ্যে সাধারণ সম্পাদকের পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ছবিপাড়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

অনেকেই বলাবলি করছেন, গত মেয়াদেও নিপুণ এই শিল্পী সমিতি নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জায়েদ খানের সঙ্গে বেশ চড়াই-উৎরাই শেষে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এবারও এমন করায় শিল্পী সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও অনেকেই অভিযোগ করেন।

এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন নিপুণ আক্তার। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নিপুণ। এবার একই কারণে নিপুণও সদস্যপদ হারাতে পারেন বলে জানা গেছে।

নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। গত বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহসভাপতি ডি এ তায়েব।

তাই এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।

বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’

এর এক দিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডি এ তায়েব।

বিষয়টি তুলে তিনি বলেন, নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই। তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।’

বৃহস্পতিবার সমিতির সভার আগে মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের সময় সদস্যপদ ফিরে পাওয়া ১০৩ শিল্পী। এ সময় নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট করা নিপুণকে নিয়ে কথা বলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল।

তিনি বলেন, ‘আজকে যাকে (নিপুণ) নিয়ে কথা হচ্ছে, সে তো তার বাপকেই অস্বীকার করছে। রক্তে সমস্যা না থাকলে এটা হওয়ার কথা না। যাকে (ডিপজল) দিয়ে সবাই তার মুখ চিনল, তাকেই সে ভুলে যায়। সে কি আমাদের সঙ্গে টেস্ট খেলতে চায়? এস খেল। কিন্তু আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।’

প্রসঙ্গত, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট করেন। এই মুহূর্তে নিপুণ যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে ফ্লাই করার আগ মুহূর্তে তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘হ্যাঁ এই রিট আমি করেছি। অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকেই করা হয়েছে।

রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বিষয়:

মৃণাল সেন রূপে চঞ্চল, প্রশংসায় মনামী

আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক

ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন সব চরিত্রে অভিনয় করে চঞ্চল চৌধুরী জাত অভিনেতা হিসেবে অনেক আগেই প্রমাণ দিয়েছেন। নাটক-সিনেমা এবং ওটিটিতে অভিনয় করে হয়েছেন তিনি প্রশংসনীয়। এপার বাংলা ছাড়াও কোলকাতাতে চঞ্চল চৌধুরীর ভক্ত হয়েছেন অনেক। দেশে নির্মিত দারুণ সব ওয়েবফিল্ম ও ওয়েবসিরিজ ইতোমধ্যে ওপার বাংলার দর্শকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছেন।

এবার কালজয়ী চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে কলকাতাতে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘পদাতিক’। এর মাধ্যমে ওপার বাংলার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির নির্মাণে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন ঢাকার চঞ্চল চৌধুরী। সৃজিত আবার চঞ্চলের সঙ্গে প্রথমবার জুটি বাঁধালেন কলকাতার অভিনেত্রী মনামী ঘোষের সঙ্গে। চরিত্রের প্রয়োজনে চঞ্চল ও মনামী দুজনকেই নানা প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবু সব সামলে ঠিকঠাক সেরেছেন কাজ। এখন দুজনই ফুরফুরে মেজাজে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

‘পদাতিক’-এ মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল। তার সঙ্গে প্রথমবার কাজ করে কলকাতার গণমাধ্যমে মনামী বললেন, ‘চঞ্চলদা হলেন খুব সহজ মনের মাটির মানুষ। আমি যতজন অভিনেতার সঙ্গে এতদিন কাজ করেছি, তাদের মধ্যে সবচেয়ে সহজ-সরল মানুষ হলেন চঞ্চলদা।’

ছবিতে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় আছেন মনামী। মজার ব্যাপার হলো মনামীর মতে, তার সঙ্গে গীতা সেনের কোনো মিল নেই। বরং মৃণাল সেনের সঙ্গেই নাকি নিজের সামঞ্জস্য খুঁজে পান তিনি। তার ভাষ্য, ‘গীতা সেনের সঙ্গে আমি নিজের কোনো মিল পাইনি। আমি বরং মৃণাল সেনের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছি। কারণ আমি এখন যে জায়গায় আছি, সেখানে থাকতে গেলে পরিবারকে পাশে দরকার হয়। আমার পরিবারের মানুষ আমায় সাহায্য করে এই জায়গায় থাকতে। আমি সেই অর্থে সব সময়ে পরিবারের পাশে থাকতে পারি না। আমার শিরদাঁড়া আমার পরিবার। আমার পরিবার, মা-বাবা হলেন গীতা সেনের মতো।’

উল্লেখ্য, ‘পদাতিক’-এ আরও অভিনয় করেছেন জীতু কমল, কোরাক সামন্ত প্রমুখ। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনস প্রযোজিত ছবিটি শিগগিরই মুক্তি পাবে।


জুটি বাঁধলেন জোভান-আইশা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রঙ্গন এন্টারটেইনমেন্টে প্রকাশ হয়েছে নতুন নাটক ‘থেমে যেতে নেই’। ফারহান আহমেদ জোভান ও আইশা খানকে জুটি করে নাটকটি পরিচালনা করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু এবং প্রযোজনা করেছেন জামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার নাটকটি প্রচারে আসে। নির্মাতা জানান, ‘মিষ্টি একটা প্রেম-ভালোবাসার গল্পের নাটক এটি। যেখানে একটি ছেলে ও মেয়ের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। মেয়েটির ঠিক যখন বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ সৃষ্টি হয় তখন প্রেমিক ছেলেটা কেমন পরিস্থিতি পার করে সেটি এ নাটকে দর্শক দেখতে পাবে।’ এর আগে ‘তখন যখন’, ‘প্রথম ভালোবাসা’, ‘কিছু কথা বাকি’সহ গত ঈদে প্রচারিত কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হন জোভান। বিরতি শেষে শুরু করেছেন ঈদুল আজহার কাজ। এদিকে অভিনেত্রী আইশা খানও বেশ নিয়মিত কাজ করছেন।

বিষয়:

এবার আম্বানির বাড়িতে আসছেন শাকিরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছেলের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠান ঘিরে গুজরাটের জামনগর মাতিয়ে গেছেন বিশ্বের নামীদামি সব তারকা। আগামী ১২ জুলাই অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে। এর আগে আবারও বসতে যাচ্ছে তারার হাট। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আগে আরও একটা প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বলেই খবর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষে অতিথিদের সঙ্গে বিলাসবহুল ক্রুজে চড়ে প্রি-ওয়েডিং পার্ট টু সেলিব্রেট করবেন অনন্ত-রাধিকা। আগামী ২৮ থেকে ৩০ মে হবে সেই অনুষ্ঠান। ইতালি থেকে ফ্রান্সের দক্ষিণ প্রান্ত, সমুদ্রপথে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেবে বিলাসবহুল ক্রুজটি।

দুই দিনের এই প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় ৮০০ জনের বেশি অতিথি রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ক্রুজে থাকবেন প্রায় ৬০০ কর্মী। সব মিলিয়ে যে এলাহি আয়োজন হতে চলেছে, সেই আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ক্রুজ সফরেও বসবে চাঁদের হাট। শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান থেকে রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, বলিউডের একাধিক এ লিস্টারের সেখানে থাকার কথা। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, ক্রুজে স্পেশাল পারফরম্যান্স থাকবে দুয়া লিপা, শাকিরা আর এ আর রহমানের।

তবে এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক খবর জানা যায়নি। তবে বলিউড থেকে বিশ্বের বড় বড় তারকারা যে প্রি-ওয়েডিং পার্ট টু-তে থাকতেই পারেন, সে সম্ভাবনা বেশ জোরালো।

গুজরাটের জামনগরে অনন্ত-রাধিকার প্রি-ওয়েডিংয়ের ইভেন্টে পারফর্ম করেছিলেন রিহানা, অরিজিৎ সিং থেকে শ্রেয়া ঘোষাল। সব অনুরাগীকে চমকে দিয়ে একসঙ্গে মঞ্চে উঠে নাচের তালে মাতিয়ে তুলেছিলেন বলিউডের তিন খান। এবার প্রি-ওয়েডিং পার্ট টু-তে কী চমক দেখা যায়, সেদিকে নজর থাকবে অনেকের।


কান মানেই ‘ঐশ্বর্য ঝলক’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

কান উৎসব চলবে, আর সেখানে বলিউড তারকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের উপস্থিতি থাকবে না- তাই কখনো হয়! কানের লাল গালিচায় এই সাবেক বিশ্বসুন্দরীর পা না পড়লে গোটা আয়োজনটাই যেন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। সেই ২০০২ সাল থেকে টানা কান আসরে দ্যুতি ছড়িয়ে আসছেন অ্যাশ। মাঝখানে গত দুই বছর করোনার ভার্চুয়ালি উৎসব হওয়ার কারণে তামাম দুনিয়ার তারকাদের মতো কানে যেতে পারেননি এই অভিনেত্রী।

এরই মধ্যে ফ্রান্সের ভূমধ্য সাগরের কান সমুদ্র সৈকতে পর্দা উঠেছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ও জমজমাট এই আসরের। কিন্তু ঐশ্বরিয়া রাই ছাড়া কান উৎসব যেন এক প্রকার অসম্পূর্ণই থেকে যায় বলা চলে। তাই ডান হাতের চোট নিয়েই বুধবার গভীর রাতে মেয়ে আরাধ্যকে নিয়ে কানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাই সুন্দরী। এদিন বিমানবন্দরে তাকে দেখা গেছে কালো ট্রাউজার ও একটি দীর্ঘ নীল রঙের ওভারকোটে। আর কন্যা আরাধ্যকে কালো জগার এবং একটি সাদা সোয়েটশার্টে বেশ সুন্দর লাগছিল।

তবে ঐশ্বরিয়া ভক্তদের মনে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ঐশ্বরিয়ার ডান হাত! এত বড় একটি উৎসবের আগে হাতে কীভাবে ব্যথা পেলেন ঐশ্বরিয়া, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভক্তরা। চোট নিয়ে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘এভাবে চোট পাওয়া হাতে কানে হাঁটবে, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘আশা করি তিনি ভালো আছেন। সবচেয়ে লাবণ্যময়ী নায়িকা ঐশ্বরিয়া। কান উৎসবে তাকে দেখার জন্য আর তর সইছে না। অনেক ভালোবাসি।’ অন্য আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘দেখুন এই ভাঙা হাতেও কীভাবে মেয়েকে আগলে রাখছেন। ওয়াও!’

২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়না পরে হেঁটেছিলেন ঐশ্বরিয়া। ওই বছরই তার ছবি ‘দেবদাস’ সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। সেবার অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন নায়িকা। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল’রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রেড কার্পেট রেখেছেন মাতিয়ে। এই বছরের রেড কার্পেটের জন্য কী সাজ ভেবে রেখেছেন, তা দেখার জন্যই অপেক্ষায় রয়েছেন বচ্চন বধূর ভক্তরা। এ বছর ঐশ্বরিয়া ছাড়াও কানের রেড কার্পেটে হাঁটবেন কিয়ারা আদভানি, শোভিতা ধুলিপালা ও অদিতি রাও হায়দারির মতো বলিউড তারকারা।

বিষয়:

banner close